ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ , ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বাঘ-সিংহের খাদ্য বাসি গরুর মাংস সরবরাহ লালমনিরহাটে সেপটিক ট্যাংকে শ্রমিকের মৃত্যু বিরলে সর্প দংশনে ২ জনের মৃত্যু নওগাঁয় গৃহকর্মী থেকে সফল হাঁসচাষি খাতিজা সাঘাটায় বাঙালি নদীতে বালু উত্তোলন হুমকিতে ব্রিজ ও ফসলি জমি শেরপুরে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা বাবুগঞ্জে বাঁধ নির্মাণ সংরক্ষণের জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন জমা পড়েছে দায়সারা প্রতিবেদন তিন লাশের পরিচয় মেলেনি ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই হাসপাতালে ৪৩ রোগী আসন্ন বর্ষায় এবারও ঢাকা ডুবে যাওয়ার শঙ্কা এবার পাল্লা ভারী করার মিশনে বিএনপি রফতানিতে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা ৫ মে থেকে আন্দোলনে নামবেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ‘কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা ছাড়া গণমাধ্যম স্বাধীন হবে না’ ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলে নির্বাচন হওয়া উচিত-শফিকুর রহমান তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ ঢাকায় ব্যবসা খুঁজতে আসছে চীন জুলাইয়ের বিপক্ষ শক্তি হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে- প্রেস সচিব আ'লীগের পুনর্বাসন মানবো না অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া বার্তা দিলো হেফাজত

তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৭:৪৯:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৭:৪৯:১৮ অপরাহ্ন
তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ
বহুল আলোচিত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আজ রোববার। এদিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে। এর আগে, বহুল আলোচিত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ৪ মে দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ। গত ২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আমিনুল ইসলাম, মাকসুদ উল্লাহ, জাকির হোসেন, আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, সামসুল ইসলাম মুকুল, আজমল হোসেন খোকন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানান, মামলাগুলোর বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, কারণ তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১৩ মার্চ আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।
ঘটনা ও বিচার প্রক্রিয়া: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২। মোট ৫২ আসামির মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স